x 
Empty Product

Índiceআমগাছে মুকুল বেরোবার মাস ফাল্গুনে বিনা নোটিশের হাঠাৎ বৃষ্টি আর্শীবাদ হিসাবে দেখা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা ব্যাপী গৃহস্তদের জন্য। এ বৃষ্টির ফলে জেলায় আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাণিজ্যিক আমবাগান কক্সবাজারে তেমন না থাকলেও জেলার গ্রাম ও শহরের প্রায় প্রতিটি বসত ভিটিতে রয়েছে বিপুল সংখ্যক আমগাছ। বিভিন্ন স্বাদ ও প্রজাতির এসব আমগাছ মুকুলিত হয়েছে ১০/১৫দিন আগে থেকেই। গাছের শাখা প্রশাখা জুড়ে এখন শুধুই দৃষ্টিনন্দন আমের বোল। ইতিমধ্যে অনেক গাছে আ¤্রপলি ও আসতে শুরু করেছে। কিন্তু শীতকালিন ক্রমাগত শুস্কতা ও উত্তুরে শীতল হওয়ার ফলে গাছের আমের বোল শুকিয়ে ঝরে পড়তে শুরু করেছিল। এমন সময়ই হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় গাছ থেকে আমের বোল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। আমগাছে ইতিপূর্বের আসা সব মুকুল এখন আমে পরিণত হবে। ফলে জেলাব্যাপী আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। জালালাবাদ ফরাজী পাড়ার  প্রবীণ ও অভিজ্ঞ আবদু ছালাম বলেন, সামনে জোর ঝড়বাতাস না হলে আগামী মৌসুমে জেলা ব্যাপী আমের বাম্পার ফলন হবে। আর ১৫/২০দিন পরেই সবুজ কাঁচা আম গাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। কাঁচা আম ঝাল মরিচ ও অপরাপর মসল্লা দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা। নাম শুনেই জিভে জল আসার মত খাবার এই কাঁচা আমের আচার। আবহমান গ্রাম বাংলার অন্যতম ঐতিহ্য কাঁচা আমের আচার ও পরবর্তীতে পাকা আম খাওয়ার জন্য এখন শুধুই অপেক্ষা। তবে এজন্য প্রকৃতির খেয়ালের উপরেই নির্ভর করতে হবে।