কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগে আমে ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীন। পলিব্যাগে বড় ধরনের ত্রুটি বের হওয়ায় বাংলাদেশের কৃষি সম্প্রসারণ ও কৃষি গবেষণা বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ কারণে কৃষি সম্প্রসারণ ১৮ কৃষি বিজ্ঞানীকে পদোন্নতি দিলেও দুইজনের পদোন্নতি আটকে একই পদে বদলি করেছে ভিন্নস্থানে। একই সঙ্গে পলিব্যাগ সংক্রান্ত প্রায় কোটি টাকা তসরুফের দায়ে এক কৃষিবিজ্ঞানীর বিরুদ্ধে কৃষি গবেষণাগার তদন্তে নেমেছে। পলিব্যাগের উদ্ভাবক দেশ চীন ইতোমধ্যেই কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে। একই কারণে জাপানসহ ফিলিপিন্স আম সংরক্ষণে কার্বন নিষিদ্ধ করে শুধু সাদা ব্যাগ ব্যবহার করছে। সূত্র আরও নিশ্চিত করেছে জনৈক কৃষিবিজ্ঞানী চীনে গবেষণা করে এসে বাংলাদেশে ব্যাপক হারে কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহার শুরু করেন। পাশাপাশি প্রচারে নামে আম রফতানিতে পলিব্যাগ ব্যবহারে।
এর ফলে দেশের বৃহৎ আম উৎপাদনকারী এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ অঞ্চল এবং পাহাড়ী এলাকায় আম সংরক্ষণে পলিব্যাগ জনপ্রিয়তা লাভ করে। বিশেষ করে যে সব চাষী আম রফতানিতে আগ্রহী তারা ঝোঁকে কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহারে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এই ধরনের পলিব্যাগের কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে। চাঁপাইয়ের একটি কারখানা এই ধরনের আম সংরক্ষণে প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ হাজার পলিব্যাগ তৈরি করে থাকে। চড়ামূল্য দিয়ে চাষীরা এই ব্যাগ কিনে আম সংরক্ষণ করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ চীন কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করেছে আম সংরক্ষণে। কার্বন মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এটা আবিষ্কারের পর পরই এই নিষেধাজ্ঞা। তারা এখন কার্বন ছাড়া সাদা পলিব্যাগ তৈরি করছে। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশস্থানে এখনও কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগে আম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টার কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহার করছে না। এই হর্টিকালচারের বিজ্ঞানী জোহরুল ইসলাম জানান, তারা এখন কার্বন ছাড়া ঢাকা থেকে সাদা পলিব্যাগ এনে ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহার না করার। ইতোমধ্যেই পৃথিবীর প্রায় ১৭টি দেশ কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহার করা আম নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছেন।
ফ্রেডলি ফ্রুট প্রডাকশন পেপার ব্যাগ মল্লিক সিড কোম্পানি, ঢাকা নির্মাণ করছে চীনের প্রযুক্তিতে কার্বন ছাড়া পলিব্যাগ। এই ব্যাগ চীন থেকেও তারা আমদানি করেছে, যা কল্যাণপুর হর্টিকালচারে ব্যবহার করছে। জনৈক বিজ্ঞানী ব্যাপক হারে কার্বন মিশ্রিত পলিব্যাগ ব্যবহারে কোটি টাকার আর্থিক সুবিধা ভোগ করায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে চিহ্নিত করে তদন্তে নেমেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত করেছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তার অভিমত, এই ধরনের ভুল তথ্য দেয়া গবেষকের দেশে থাকা উচিত নয়।
সুত্র: http://web.dailyjanakantha.com/details/article/361852/%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A8-%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%B0/