গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বগুড়া, জয়পুরহাট, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট আট হাজার এক হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়। আর আম উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ২৪৪ মেট্রিক টন।
২০১৬-১৭ অর্থ বছরে আমের আবাদ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় আট হাজার ৪৫৫ হেক্টরে। উৎপাদন হয়েছিল ৯২ হাজার ১৪৫ মেট্রিক টন। সর্বশেষ গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আট হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ২৫ হাজার ১২১ মেট্রিক টন আম।
অর্থাৎ গত তিন বছরে এ অঞ্চলে আমের উৎপাদন বেড়েছে ৪১ হাজার ৮৭৭ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে বগুড়ায় তিন হাজার ৫৫৭ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ৩১ হাজার ২২০ মেট্রিক টন। জয়পুরহাটে ৭৫২ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ছয় হাজার ৭৪৩ মেট্রিক টন। পাবনায় দুই হাজার ৩৮০ হেক্টরে উৎপাদন ছিল ২৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। সিরাজগঞ্জে এক হাজার ৩১২ হেক্টরে উৎপাদন হয়েছিল ১৫ হাজার ৫৩১ মেট্রিক টন।
২০১৭ সালে বগুড়ায় আম উৎপাদন হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন, জয়পুরহাটে ছয় হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন, পাবনায় ৩০ হাজার ৭৩ মেট্রিক টন ও সিরাজগঞ্জে ১৭ হাজার ২৪৩ মেট্রিক টন।
২০১৮ সালে বগুড়ায় আম উৎপাদন হয়েছিল ৩৮ হাজার ৬৩৬ মেট্রিক টন, জয়পুরহাটে ছয় হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন, পাবনায় ৩২ হাজার ৭৯০ মেট্রিক টন এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৬৯ মেট্রিক টন।
বগুড়া পৌর এলাকার উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, নিয়ম ছাড়াই বিচ্ছিন্ন ও মনগড়া ভাবে আম চাষ করার ফলে আমরা কাঙ্ক্ষিত আম উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকি। অন্য ফসলের ন্যায় আমের পরিচর্যা করতে হয়।
আমের মুকুল বের হওয়া থেকে মুকুল থেকে আম ফোটা পর্যন্ত আম গাছে নিয়মিত সেচ দিতে হয়। আমের মুকুল আম ফুটে বের হওয়া পর্যন্ত সাইফারমেথ্রিন, ইমিডাক্লোরোফিট গ্রুপের ওষুধ এবং সঙ্গে ছত্রাক নাশক প্রোপিকোনাজিল গ্রুপের ওষুধ একসঙ্গে স্প্রে করতে হবে। যা ডালপালা,পাতা ও ফুলে স্প্রে করতে হয়। এতে ম্যাংগো হপার ও ছত্রাক জনিত রোগ থেকে আমের মুকুল রক্ষা পাবে।