আম সংরক্ষণে রাজশাহী অঞ্চলে হিমাগার স্থাপনের দাবি জানিয়ে আম ব্যবসায়ী খন্দকার মনিরুজ্জামান মিনার বলেন, রাজশাহীর আম বাংলাদেশের প্রত্যেক মানুষ যাতে খেতে পারেন সেজন্য আম সংরক্ষণ করা দরকার। আমচাষিরা এখন যেভাবে বিপাকে পড়ছেন, হিমাগার থাকলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না।
শনিবার (২ জুন) সকালে ‘আমের দেশে নতুন বেশে’ শীর্ষক এ আলোচনায় বক্তব্যকালে তিনি আরও বলেন, কোনো ফসলের উপর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না। আম পাকলেই আমরা বুঝতে পারি আমটা পেকেছে। ভূ-প্রকৃতি একেক জায়গায় একেক ধরনের। দক্ষিণাঞ্চলের আমগুলো আগে শুরু হয়। উত্তরবঙ্গের আমগুলো পরে শুরু হয়। সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কারণে কৃষকদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার কাছে এক হাজার মণ আম আছে। এ আম আমি কোথায় রপ্তানি করবো। ব্যক্তিগত গ্রাহকদের কাছে ২শ' মণ বিক্রি করতে পারি। বাকিগুলো কাকে দেবো।
ইথোফেন হরমোনের মাধ্যমে অপরিপক্ব আম পাকানোর অসাধু চক্রটিকে দমনের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
নিউজটোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের সিইও এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক এস এম আব্দুল কাদের।
এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন বাংলানিউজের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তী, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পাল, আম চাষি ও ব্যবসায়ী ইসমাঈল খান শামীম, আম চাষি ও ব্যবসায়ী খন্দকার মনিরুজ্জামান মিনার, রাজশাহী অ্যাগ্রো ফুড প্রডিউসার সোসাইটির আহ্বায়ক মো. আনোয়ারুল হক, আম গবেষক ও লেখক মো. মাহাবুব সিদ্দিকী, আম চাষি ও ব্যবসায়ী (বাঘা) মো. জিল্লুর রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হুদা।