সাফিনা পার্ক
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 10665
ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দিগরাম খেজুরতলায় ৪০ বিঘা জমির উপর সাফিনা পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।
ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দিগরাম খেজুরতলায় ৪০ বিঘা জমির উপর সাফিনা পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে।
পার্কের ভেতরে দুটি পুকুরে লেক ছাড়াও দর্শনার্থীদের পানিতে চলাচলের জন্য বোট রয়েছে। পার্কের সমস্ত এলাকা জুড়ে ফুলের বাগানের সঙ্গে রয়েছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরিকৃত বিভিন্ন জীবজন্তু। শিশুদের বিনোদনের জন্য নাগরদোলা, দোলনা, ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে। সভা-সমাবেশ, কনসার্ট ও গানবাজনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। পার্কটিতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনফারেন্স রুম। দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য আধুনিক রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আছে কনফেকশনারি ও ফাস্টফুডের দোকান। শিশুদের খেলনাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারা যাবে পার্কেই। এ জন্য একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকদের রাত্রীযাপনের জন্য পার্কটিতে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেল রয়েছে। ১৩টি অত্যাধুনিক রুমের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম রয়েছে। পার্কের ভেতরে ২টি পিকনিক স্পট রয়েছে। সবকিছু মিলেই সাফিনা পার্কের মনোরম পরিবেশ পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের পিপাসা মিটাবে বলে সাফিনা পার্কের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক জানান। পার্কের পরিচালক মিজানুর রহমান ফরিদ বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে তিনি চীনে রয়েছেন। বছরে একবার সপরিবারে গোদাগাড়ীতে আসার পর ছেলেমেয়েদের ঘুরাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ অঞ্চলে কোন বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল না। তাই তার বহুদিনের ইচ্ছা ছিল বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রাণকেন্দ্র হিসাবে পরিচিত গোদাগাড়ীতে একটি পার্ক গড়ে তোলা। সাফিনা পার্কটিকে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্রে রূপদান করার কথা বলেন তিনি। সাফিনা পার্কে প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রত্যেক দর্শনার্থীর জন্য ২০ টাকা। গোদাগাড়ী উপজেলা সদর ডাইংপাড়ার পূর্বদিকে ৮ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী-আমনুরা সড়কের পাশে দিগরাম খেজুরতলা। এই খেজুরতলা সাফিনা পার্কে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই ধারের ফসলের যে সবুজের সমাহার ঘটেছে তা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়বে। ডাইংপাড়া মোড় থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার যাওয়া মাত্রই প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা সরমঙ্গলা ইকোপার্ক দেখতে পাবে দর্শকেরা। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে সাফিনা পার্কে ঘুরে যাওয়ার সময় পদ্মানদীর ধারে সন্ধ্যার আগে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবে। সরমঙ্গলা ইকোপার্ক, পদ্মা নদীর দৃশ্য, ঠাকুর নরোত্তম দাসের ঐতিহ্যবাহী গৌরাঙ্গবাড়ী, হযরত শাহ্ সুলতানের মাজার দেখতে প্রতিবছর গোদাগাড়ীতে পর্যটকদের ভিড় জমাতে দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরের অংশ হিসাবে বরেন্দ্র অঞ্চলে আগমন ঘটে শিক্ষার্থীদের। চলতি বছর দেশ-বিদেশের পর্যটক ও শিক্ষার্থীরা বাড়তি বিনোদন পাবে গোদাগাড়ী সাফিনা পার্ক দর্শনের মধ্য দিয়ে।
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
রাজশাহী জেলাধীন গোদাগাড়ী উপজেলায় অবস্থিতসাফিনা পার্কের যাত্রা শুরু। ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দিগরাম খেঁজুরতলায় ৪০ বিঘা জমির উপর সাফিনা পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পার্কের ভেতরে দুইটি পুকুরের লেক ছাড়াও দর্শনার্থীদের পানিতে চলাচলের জন্য নৌকা রয়েছে। পার্কের সমস্ত এলাকা জুড়ে ফুলের বাগানের সঙ্গে রয়েছে কৃত্রিম উপায়ে তৈরিকৃত বিভিন্ন জীবজন্তু। শিশুদের বিনোদনের জন্য নগরদোলা, দোলনা, ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। সভা-সমাবেশ, কনসার্ট ও গানবাজনার জন্য আন্তর্জাতিক মানের মঞ্চ স্থাপন করা হয়েছে। পার্কটিতে রয়েছে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত কনফারেন্স রুম। দর্শনার্থীদের খাবারের জন্য আধুনিক রেস্টুরেন্টের সঙ্গে আছে কনফেকশনারি ও ফাস্ট ফুডের দোকান। শিশুদের খেলনা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারা যাবে পার্কেই। এ জন্য একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যটকদের রাত্রী যাপনের জন্য পার্কটিতে বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থা রয়েছে। ১৩ টি অত্যাধুনিক রুমের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত রুম। পার্কের ভেতরে ২ টি পিকনিক স্পট রয়েছে। সবকিছু মিলেই সাফিনা পার্কের মনোরোম পরিবেশ পর্যটক ও দর্শনার্থীদের বিনোদনের পিপাসা মিটাবে। সাফিনা পার্কে প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রত্যেক দর্শনার্থীর জন্য ২০ টাকা। গোদাগাড়ী উপজেলা সদর ডাইংপাড়ার পূর্বদিকে ৮ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী-আমনুরা সড়কের পার্শ্বে দিগরাম খেঁজুরতলা। এই খেঁজুরতলা সাফিনা পার্কে যাওয়ার সময় রাস্তার দুই ধারের ফসলের যে সবুজের সমাহার ঘটেছে তা পর্যটক ও দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়বে। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে সাফিনা পার্কে ঘুরে যাওয়ার সময় পদ্মানদীর ধারে সন্ধ্যার আগে সূর্যাস্ত উপভোগ করতে পারবেন।
আরও কিছু ছবিঃ
Comments
- No comments found
Leave your comments