বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের সমাধি (ভিডিও)
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 11979
মসজিদ প্রাঙ্গণের অভ্যন্তরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে দুটি আধুনিক কবর রয়েছে। কবর দুটি উত্তর-দক্ষিণে ৪.১ মিটার পূর্ব-পশ্চিমে ৪.৭ মিটার এবং ১.৩ মিটার উঁচু ইটের প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত।
মসজিদ প্রাঙ্গণের অভ্যন্তরে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে দুটি আধুনিক কবর রয়েছে। কবর দুটি উত্তর-দক্ষিণে ৪.১ মিটার পূর্ব-পশ্চিমে ৪.৭ মিটার এবং ১.৩ মিটার উঁচু ইটের প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত।
কবর দুটি বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাজমুল হক-এর।
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বরিশালের রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ৫ অক্টোবর কাকুলপাকিস্তান মিলিটারী একাডেমীতে যোগদান করেন। নিষ্ঠার সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর ১৯৬৮ সালের ২ জুন কমিশন প্রাপ্ত হন। ছয় মাস চাকুরী করার পর তিনি রিসালপুরস্থ মিলিটারি কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ যোগদান করেন এবং সুদীর্ঘ ১৩ মাসের বেসিক কোর্সে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। এরপর সেখান হতে বোম্ব ডিসপোজাল কোর্স করেন এবং কোর অব ইঞ্জিনিয়ারস এর একজন সুদক্ষ অফিসার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রচুর সুনাম অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনী যখন বাংলাদেশএক ধ্বংসযজ্ঞ ও পাশবিক অত্যাচারে লিপ্ত ছিল, তখন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কারাকোরামের বন্ধুর পার্বত্য সীমান্ত রক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করেন। ভারত হতে পরে তিনি বাংলদেশ সীমান্তে পৌঁছেন। শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্বাধীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নির্দেশে রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকার ৭ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর অধিনায়ক হিসাবে কাজ করছিলেন। তার যোগ্য অধিনায়কত্বে মুক্তিবাহিনী এক চরম বিভীষিকারূপে হানাদার বাহিনীর সকল স্তরের সৈনিকদের মধ্যে মহাত্রাসের সঞ্চার করেছিল। সিংহ শক্তিতে বলিয়ান মুক্তিসেনারা ঝাপিয়ে পড়লে শত্রুদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটিগুলো একের পর এক পতন ঘটতে থাকে। তাদের আক্রমণ এত প্রবল ও ত্রাস সৃষ্টিকারী ছিল যে, একবার একটি শত্রু লাইনের উপর হামলা চালাবার পূর্ব মুহুর্তে প্রায় সহস্রাধিক শত্রুসেনা প্রাণের ভয়ে প্রতিরক্ষা ব্যুহ ছেড়ে চলে যান। ১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর মহানন্দা নদী অতিক্রম করে শত্রুসৈন্যদের ধ্বংস করার জন্য নবাবগঞ্জের দিকে অগ্রসর হন। ১৪ ডিসেম্বর তিনি শত্রুদের কঠিন ব্যুহ ভেদ করবার জন্য দুর্ভেদ্য অবস্থানগুলো ধ্বংস করছিলেন, যখন আর একটি মাত্র শত্রু অবস্থান বাকী রইল এমন সময় মুখোমুখি সংঘর্ষে বাংকার চার্জে শত্রুর বুলেটের আঘাতে বাংলার এই সূর্য সৈনিক শাহাদাৎ বরণ করলেন। দৃঢ় অথচ বজ্রশপথে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে দুটি চোখ স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরীর মত সদা জাগ্রত থেকে ভবিষ্যতের স্বাধীন সোনালী বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছিল তা স্তিমিত হয়ে গেল।১৫ ডিসেম্বর শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গনে আনা হয়। অসংখ্য স্বাধীনতা প্রেমিক জনগণ, ভক্ত মুক্তিযোদ্ধা, অগণিত মা-বোনের নয়ন জলের আর্শীবাদে সিক্ত করে তাকে এখানে সমাহিত করা হয়।
Comments
- No comments found
ফজলি আপডেট
- গৌড় নগরীর জন্ম
- গৌড় নগরীর শেষ পরিনতি
- সকল হাফিজ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৫০% ফ্লাট মুল্যছাড়
- দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে একাধারে তিন চিল্লা দিয়েছেন এমন পরিবারের জন্য পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- হাফিজ ও আলেম পরিবারের জন্য কুরিয়ার ফ্রি
- সাল লাগানো আলেম পরিবারের পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সরকারী মেডিক্যাল কলেজ এর সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য ১০% ফ্লাট মুল্যহ্রাস
- সকল হাফিজ পরিবারের জন্য প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- মাদ্রাসা পড়ুয়া সকল ছাত্রদের পরিবাবের জন্য ১০% মুল্যহ্রাস
- প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- ঢাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- চিল্লায় সফরে আছেন এমন পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- আমাদের পুরানো গ্রাহকদের জন্য ৳২০০ টাকা ইনস্ট্যান্ড ক্যাশব্যাক
Leave your comments