ধূনিচক বা ধনাইচকের মসজিদ (ভিডিও)

User Rating:  / 0
PoorBest 

 ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর কোতওয়ালী দরজার পূব দক্ষিণে বালিয়াদীঘি গ্রামের সন্নিকটে প্রায় অর্ধ  কি: মি

পূর্ব প্রান্তে ধনুচকের মসজিদ অবস্থিত। এর দক্ষিণে একটি ছোট এবং পূর্র্ব প্রান্তে

 ঐতিহাসিক গৌড় নগরীর কোতওয়ালী দরজার পূব দক্ষিণে বালিয়াদীঘি গ্রামের সন্নিকটে প্রায় অর্ধ  কি: মি

পূর্ব প্রান্তে ধনুচকের মসজিদ অবস্থিত। এর দক্ষিণে একটি ছোট এবং পূর্র্ব প্রান্তে

ভরাট হয়ে শুকিয়ে যাওয়া অন্য একটি পুকুরের অস্তিত্ব বিদ্যামান। এটি একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদ। এর দক্ষিণ পূর্বের দেয়াল বিধ্বস্ত হয়। প্রত্নতত্ব বিভাগের মেরামতির পর এর অংগ সোষ্টব সত্যি দেখার মত নিদশর্নে পরিণত হয়েছে। প্রত্নতত্ব  বিভাগ ২০০৪/২০০৫ অর্থ বছরে এটিকে পূর্ণাঙ্গরুপে সংস্কার ও গম্বুজগুলি পূর্ণঃনির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করে। গৌড়িয়া ইটের তৈরী এ ইমারতটি পরিকল্পনায় আয়তাকার (বর্গকার) । এর উত্তর দক্ষিণের দৈর্ঘ্য১০.০৭ মিটার, পূর্ব পশ্চিমে প্রস্থ ১১.১৩ মিটার। দু‘টি ন্বতন্তভাবে তৈরী  স্থম্ব মসজিদের অভ্যন্তরভাগকে দু‘টি আইল ও তিনটি“বে” একটি করে গম্বুজ দ্বারা আবৃত। কেবলা দেয়ালের অভ্যন্তরভাগে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব  দারা সজ্জিত। মধ্যবর্তী মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের পূর্র্ব দেয়ালে ৩টি ও উত্তর দেয়ালে ২টি করে মোট ৭টি থিলান পথ ছিল। মসজিদের অভান্তর ভাগে ৪টি প্রস্তর স্তম্ব বিদ্যামান। এ প্রস্তর স্তম্ব ৪টি মসজিতের গম্বুজের ভার বহন করতো  অবশ্য গম্বুজগুলি ভল্ট দ্বারা নির্মিত ছিল। ৪টি প্রস্তর স্তম্ব   আর দু‘টি আইল আর ৩টি “বে” এর সমন্বয়ে গঠিত মসজিদটির প্রকৃতপক্ষে ছয়টি গম্বুজ  ছিল। খিলানগুলির উত্তরণস্তলে বাংলা পেভেপ্টিভ  বিদ্যামান। উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের থিলান উত্তরণস্থলে লিল্টন আকৃতির পাথরের ব›ধনী দৃঢ়ভাবে স্থাপিত। মসজিদের চতুর্কোণে বেষ্ঠনীতে আবদ্ধ রেখেছিল। বর্তমান এ ইমারতের দেয়ালে টেরাকোটা অলংকার বিলুপ্ত প্রায়। সম্মুখের মিহরাবগুলিতে রয়েছে অপূর্ব খাঁজ কাটা খিলান, যা আয়তাকার ফ্রেমের মধ্যে স্থাপিত। মসজিদের ভিতরে সজ্জিত পোড়া মাটির অলংকরণ আর অন্য কোন মসজিদের নেই।

                উত্তর পশ্চিমের মিহরাবের স্প্যানড্রের-এ শাখা প্রশাখসহ গুল্ম লতাপাতা নক্র এবং গভীরভাবে খাঁজ কাটা গোলাপ ফুলের নকশা রয়েছে। গৌড় লখনৌতির প্রায় প্রতিটি  মসজিদে গোলাপ ফুলের পোড়া মাটির ছাঁচ হতে প্রমাণিত হয় যে, প্রাচীন কালেও বর্তমানের মত গোলাপ ফুলের জনপ্রিয়তা  ও কদর ছিল। প্রচন্ড রকম মসজিদটির উপরের অংশ মোল্ডিং  দ্বারা নকশা করা, যার চুড়ায় রয়েছে একসারি মেরলোন নকশা। মিহরাব গুলির চারপাশের অংশ একটির উপর আরেকটি  প্যানেলের সারি দ্বারা অলংকৃত এবং  এগুলির সবই ঝুলন্ত মোটিফ সম্বলিত । এ মসজিদের কোন শিলা লিপি নেই বা কথন নির্মিত হয়েছিল তাও জানা যায় ন্ া তবে মসজিদটির গঠন শৈলীই প্রমাণ করে, এটি দরসবাড়ী মসজিদের (৮৮৪হিজরী,১৪৭৯খ্রিঃ) সমসাময়িক মসজিদটির উত্তর প্রান্তে মুনসি এলাহী বথশ একটি ধ্বংস প্রাপ্ত দালান দেথেছিলেন বৃটিশ আমলে। সম্ববত দালানটি ছিল  মসজিদ নির্মাতা ও তাঁর পরিবারের কবর। নতুন মসজিদে নিযুক্ত ইমাম মোয়াজি¦ননদের সাময়িকভাবে থাকার ¯থান বর্তমানে দক্ষিণে গর্তের দুটি প্রাচীন কবরের পাথর ফলক পড়ে রয়েছে।

                মসজিদটির বর্তমান নম সম্ববত স্থানিয় ভাবে দেয়া। নামকরণে আনুমানিক ভাবে প্রমাণ করে যে, এর আশ পাশের এলাকাজুরে তুলার ব্যবসায়ী ও কারিগরদের আবাস্থল তুলা ধুণাই কারিগরদের ধূতি বলা হয়ে থাকে আর চক বলতে একটি এলাকা বা গ্রামকে বুঝাই। সুতরাং তুলা ধুণার কারিগর ও গ্রমকে সমন্বয় করে এর নাম করণ হয়েছে ধূনিচক বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমসজিদটিতে যাতায়াত করার জন্য ভালো কোন রাস্তা না থাকায় অনেক পর্যটক ও দর্শনার্থী এ প্রাচীন নির্দশনটি পরিদর্শন থেকে  বষ্ঞিত হচ্ছে। অনেকেই এর অস্তিত্ব সম্পকের্ ও অবহিত নন। প্রাচীন এ নিদর্শনটিকে দর্শনাথীদের জন্য উ›মুক্তকল্পে জরুরী ভিত্তিতে পাকা রাস্তা নির্মাণ আবশ্যক প্রত্নতত্ব বিভাগ ২০০৫ সালে মসজিদটি ৃধ্বংসপ্রাপ্ত গম্বুজ ও দেয়াল পুননির্মাণ  করে পূর্ণঙ্গ অবয়ব ফিরিয়ে এনেছে এটি একটি দেখার মত অপূর্ব প্রাচীন নিদর্শন।

 

Leave your comments

0
terms and condition.
  • No comments found