গৌড় নগরীর অবস্থান
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 11508
বাংলার সুপ্রচীন রাজধানী ঐতিহাসিক গৌড় নগরী পুরনো গঙ্গা ও মহানন্দা নদীর সাবেক সংগম স্থলর নিকট একটি সংকীর্ণ ভূখন্ডের উপর অবস্থিত। বাঙালীর ইতিহাস-আদিপূর্ব-এরে লেখক আচার্য নীহার
বাংলার সুপ্রচীন রাজধানী ঐতিহাসিক গৌড় নগরী পুরনো গঙ্গা ও মহানন্দা নদীর সাবেক সংগম স্থলর নিকট একটি সংকীর্ণ ভূখন্ডের উপর অবস্থিত। বাঙালীর ইতিহাস-আদিপূর্ব-এরে লেখক আচার্য নীহার
রঞ্জন রায় এর মতে সেন আমলের প্রায় শেষাশেষি লক্ষন সেন রামাবতীর অদূরে লক্ষণীবতী (মুসলমান ঐতিহাসিকদের গৌড় লখনৌতি) নামে এক সুবি¯তৃত নগর প্রতিষ্ঠা করেন। রাজমহল হতে ২৫ মাইল ভাটিতে গঙ্গা-মহানন্দার সঙ্গমস্থলের এ নগর গঙ্গা তীর ধরে প্রায় ১৪/১৫ মাইল জুড়ে বিস্তৃত ছিল। সেন আমলের লক্ষনাবতীকে আশ্রয় করে তুর্কী সুলতানদের গৌড় লখনৌতি নগর গড়ে উঠে। বা;ত্ক
পুরনো গঙ্গা ও মহানন্দা নদীর সাবেক সংগম স্থল বলতে চাঁপায় নবাবগঞ্জ জেলার সর্ব বৃহৎ ভোলাহাট উপজেলার ঐতিহাসিক বিলভাতিয়াকেই বুঝাই। বিলটি দেশের ২য় বৃহত্তম বিল হিসেবেও সমাধিক পরিচিত। আইন-ই-আকবরীর প্রণেতা আবুল ফজল একে ছুটিয়া-পুটিয়া, রিয়াজ-উস-সলাতীনের লেখক গোলাম হোসেন সলীম একে ঝাটিয়া ভাটিয়া (যা গৌড় নগরীর পূর্ব দিকে অবস্থিত) বলে আখ্যায়িত করেছেন। ভোলাহাট উপজেলা দক্ষিন-পশ্চিমের ভাতিয়ার বিল এবং শিবগঞ্জ উপজেলা শাহবাজপুর সাথে তুলোনা করেন। ১৫২১ খ্রিঃ জনৈক পূর্তগিজ দোভাষী জনসংখ্যা অথ্যাধিক ঘনত্বেও কথা উল্লেক করেন। তিনিও জনাকীর্ণ রাস্তাসমূহে চলাফেরার অসুবিধা লক্ষ করেন। অভিজাত ব্যাক্তিবর্গ তাদের চলার পথে সহজ করে দেয়ার জন্য বেশ কিছু লোক নিয়োগ করেন।
ফারিয়া ওয়াই সোসা এবং পরবর্তী অন্যান্যদেও মতে গৌড় নগরে জনসংখ্যা ছিল ১২লাখ। কিন্তু সফররত ফরাসি নাগরীক ৪০ হাজার পরিবার ছিল বলে মত প্রকাশ করেন।
কাস্তেননহাদা ডি লোপেজ নগরীর ভবন সমূহের একটি বর্ণনা দিয়েছেন প্রাঙ্গণ বাগান সংলগ্ন ভবন সমূহ ছিল নিচু আকৃতির এবং সোনালী ও নীলাভ টালি সজ্জিত। প্রতিটি ঘরের মেঝে সৌন্দর্য বর্ধক টালি দ্বারা আকৃতি। এ তথ্যের সমর্থন মেলে ২০০৪ সালে নভেম্বর মাসে ঐতিহাসিক গৌড়ের ছোট সোনামসজিদের আঙ্গিনা চত্বর খনন কালে অত্যন্ত মনজ্ঞ চিত্তাকষর্ক রঙ্গিন টালির বৃত্ত আবিস্করের পর হতে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব বিভাগ টালিগুলি উদ্ধার করে।
Comments
- No comments found
Leave your comments