জোড় কলম
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 24772
জোড় কলমের জন্য এক বছর বয়সের চারাগাছ সর্বোত্তম। এসকল চারাগাছকে কলম করার সময় আদিজোড় বা রুটস্টক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাতৃগাছ থেকে নির্বাচন করা সায়ন সেক্ষেত্রে হবে উপজোড়।
জোড় কলমের জন্য এক বছর বয়সের চারাগাছ সর্বোত্তম। এসকল চারাগাছকে কলম করার সময় আদিজোড় বা রুটস্টক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাতৃগাছ থেকে নির্বাচন করা সায়ন সেক্ষেত্রে হবে উপজোড়।
চারাগুলোর বীজতলায় জন্মানো হলে সেগুলোকে মাটির ছোট ছোট টবে রোপণ করতে হবে। কারণ হচ্ছে এই পদ্ধতিতে চারাগুলিকে মাটির টবে নিয়ে গাছে ঝুলিয়ে নির্বাচিত প্রান্ত শাখা বা সায়নের সাথে কলম বেঁধে দিতে হবে। চারাগুলো মাটির টবে উঠানোর পর যত্নকরে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। এরপর উপযুক্ত বিবেচনা করে জোড় কলমের জন্য নির্বাচিত করা উচিত।
বীজতলা থেকে চারাগাছগুলোকে মাটি টবে তোলার আসল সময় হচ্ছে, যখন মৌসুমি বৃষ্টিপাতের শুরু। এ সময় চারাগুলোকে ‘খাসি’ করে নিতে হয়। খাসি করার পদ্ধতি হচ্ছে, চারাগাছ থেকে চার আঙ্গুল দুরে অনুমান ৩ ইঞ্চি গভীর করে গর্ত করতে হবে। গর্তের শেষ প্রান্ত থেকে তেরচা করে নিড়ানি বা ধারালো শাবল দিযে গাছের মূল শিকড়টি কেটে ফেলতে হবে। মুল শিকড়টি সঠিকভাবে কাটা হয়েছে কিনা এটি আঙ্গুল দিয়ে পরখ করতে হবে। মূল শিকড়টি সঠিকভাবে কাটা হয়ে গেলে গর্তটি মাটি দিয়ে ভরাট করে, পায়ের গোড়ালি দিয়ে শক্ত করে চাপ দিতে হবে। চারাটি যেন মরে না যায় সেজন্য প্রয়োজনমতো পানি সেচ দিতে হবে। ‘খাসি’ করার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পর চারাগুলোর চারিধারে শাবল দিয়ে খুড়ে ২০-২৫ সে.মি. উঁচু ‘বল’সহ ১২-২৫ সে.মি. ব্যাসের ৩০ সে.মি. উঁচু ‘বল’ মাটির টবে বসাতে হবে। বলটি যাতে টবে শক্তভাবে থাকে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। চারাসহ টবগুলো গর্ত করে ছায়াযুক্ত স্থানে পাশাপাশি রেখে সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। সার ও পানি সেচ দিয়ে চারাগুলোকে তাজা রাখতে হবে। খাসি করার ৩০ দিন পর টবের চারাগুলো জোড় কলম করার উপযুক্ত হয়। পাটের সুতা বা নারিকেলের রশি দিয়ে শিকা তৈরি করে এ মধ্যে টবসহ চারা মা গাছের নির্বাচিত শাখায় বেঁধে ঝুলিযে রাখতে হবে। চারাগাছের গোড়া থেকে ২০-২৫ সে.মি. উঁচুতে দুই ইঞ্চি লম্বা করে চারার বাকল ও হাড়ের (কাঠের) সামান্য অংশ ধারালো চাকু দ্বারা চেঁছে ফেলতে হয়। চারার সমপরিমাণ মোটা একটি প্রান্ত শাখা সায়ন হিসেবে নির্বাচিত করে এর শীর্ষ থেকে ৩০-৪৫ সে.মি. নীচে ৫ সে.মি. পরিমাণ আদিজোড় যেভাবে কাটা হয়েছিল একইভাবে কাটতে হবে। কাটার আগে চারার ও ডালের ভাঁজ পরখ করে দেখতে হবে যেন কাটা স্থান দুটি পরস্পর চেপে ধরলে এক জায়গায় মিলে যায়। এরপর চারার কাটা অংশ এবং সায়নের কাটা অংশের সাথে চেপে ধরে উপরে, নিচে এবং মাঝখানে সুতলি দিযে শক্ত করে বেঁধে দিতে হবে। বাঁধার পর দুই কাটা অংশের ভিতর দিয়ে যাতে আলো-বাতাস চলাচল না করতে পারে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। টবে মাঝে-মধ্যে পানি দিতে হবে। এভাবে চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে দুটি ডাল এক হয়ে মিশে না নামিয়ে প্রথমবার সায়নের জোড়া থেকে নিচে এক-তৃতীয়াংশ কেটে তার সাত দিন পর সম্পূর্ণটা কেটে কলমটি টবসহ নামিয়ে ফেলতে হবে। এই কলামের চারাগুলো পাশাপাশি সাজিয়ে বসাতে হবে। গর্তের মধ্যে শক্ত করে চারাসহ টবগুলো বসিয়ে কান্দা পর্যন্ত মাটি দিতে হবে। এরপর নিয়মিত সেচ এবং আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। পরের বছর যখন প্রথম মৌসুমী বৃষ্টিপাত শুরু হবে, তখন কলমগুলো নির্দিষ্ট স্থানে রোপণ করা যাবে। জোড় কলম পদ্ধতিটি সাবেক আমলের। এটি অত্যন্ত শ্রম ও ব্যয় সাপেক্ষ, সময়ও নেয় বেশ। এর চেয়ে আরও সহজ পদ্ধতি রয়েছে।
Comments
- No comments found
ফজলি আপডেট
- গৌড় নগরীর জন্ম
- গৌড় নগরীর শেষ পরিনতি
- সকল হাফিজ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য ৫০% ফ্লাট মুল্যছাড়
- দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতে একাধারে তিন চিল্লা দিয়েছেন এমন পরিবারের জন্য পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- হাফিজ ও আলেম পরিবারের জন্য কুরিয়ার ফ্রি
- সাল লাগানো আলেম পরিবারের পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সরকারী মেডিক্যাল কলেজ এর সকল শিক্ষক ও ছাত্রদের জন্য ১০% ফ্লাট মুল্যহ্রাস
- সকল হাফিজ পরিবারের জন্য প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- সকল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য কুরিয়ার খরচ ফ্রি
- মাদ্রাসা পড়ুয়া সকল ছাত্রদের পরিবাবের জন্য ১০% মুল্যহ্রাস
- প্রতিবন্ধী পরিবারের জন্য কুরিয়ার ও প্যাকেজিং খরচ ফ্রি
- ঢাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- চিল্লায় সফরে আছেন এমন পরিবারের জন্য হোম ডেলিভারি ফ্রি
- আমাদের পুরানো গ্রাহকদের জন্য ৳২০০ টাকা ইনস্ট্যান্ড ক্যাশব্যাক

Leave your comments