x 
Empty Product
Saturday, 15 January 2022 18:55

বারোমাসি আমের বাৎসরিক ফলন ১২০ কেজি

Written by 
Rate this item
(0 votes)

বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটি আমাদের নিজস্ব না। অনলাইনে আম সেক্টরকে আরও বেশি প্রসারিত করার জন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে গুরুত্বপুর্ন কন্টেন্টগুলো আমরা কপি করে প্রকাশ করে থাকি। যেহেতু এই নিউজটি একাধিক সাইটে প্রকাশ পেয়েছে, তাই এখানে আমরা সোর্স লিংক প্রকাশ করছি না।


বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত একটি আমের জাত হল বারি–১১। নতুন এই বারি-১১ জাতের আমটির ফলন পাওয়া যাচ্ছে সারাবছর ধরে। স্বাদ, বর্ণ ও গন্ধে অতুলনীয় একটি সুমিষ্ট আমের জাত বারি-১১। এই জাতের একটি গাছ থেকে বছরে ৩ বার ফলন পাওয়া যায়। এতে করে বাৎসরিক ১২০ কেজি আম পাওয়া যায়। সারাবছর ধরে এই জাতের আমের উৎপাদন হওয়ার পাশাপাশি বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর আবাদ।

গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, বারি-১১ জাতের আমের মিষ্টতা ১৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। বারি আম-১১ বছরব্যাপী ফুল ও ফল দেয়। তার মধ্যে বছরের তিনটি সময়ে ফুল ও ফল তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। ফেব্রুয়ারি-মার্চ, মে-জুন ও আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ফল আহরণ করা যায়। এ জাতের আমগুলোর আকৃতি মাঝারি। এক থোকার মধ্যে গুচ্ছাকারে পাঁচ থেকে ছয়টি পর্যন্ত আম থাকে। প্রতিটি ফলের ওজন ৩০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম। পাকা অবস্থায় হলুদ বর্ণের হয়। আমটি খেতেও সুমিষ্ট।

বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি–১১ আমের জাতটি সারাদেশে চাষিদের মধ্যে সম্প্রসারণে কাজ করছেন ফেনী জেলার সোনাগাজীর সোয়াস এগ্রোর মালিক মেজর (অব.) সোলায়মান। তাঁর এ বাগান থেকেই মূলত বারি–১১ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। বিভিন্ন জেলায় তাঁর কাছ থেকে চারা নিয়ে যান লোকজন। চট্টগ্রাম কৃষি গবেষণাগার বারি–১১–এর উদ্ভাবক হলেও তাদের কাছে বেশি আকারে বিক্রি করার মতো চারা থাকে না তাই সোলায়মান চারা সরবরাহ করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে কৃষিবিদ আবদুল আজিজ বলেন, চারা লাগানোর এক বছর পর মুকুল আসে। তবে প্রথম দুই বছর মুকুল ঝেড়ে ফেলে দিতে হয়। তৃতীয় বছর থেকে পর্যাপ্ত ফল ধরে। অন্য প্রজাতির একটি গাছ থেকে বছরে ৩৫ কেজি আম পাওয়া যায়। আর বারি-১১ বছরে তিনবারে ১২০ কেজি পর্যন্ত আম দিচ্ছে।

কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম হারুনুর রশীদ বলেন, এই জাতটি আমের মৌসুমে মোট ফলের ৬০ শতাংশ ফলন পাওয়া যায়। বাকি আট মাসে পাওয়া যায় ৪০ শতাংশ ফল। সারাবছর ধরে আমের চাহিয়া মেটাতে বারি-১১ একটি অনন্য জাত বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বারি-১১ আমের জাতটি ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় বীজ বোর্ড থেকে নিবন্ধিত হয়।

Read 625 times

Leave a comment

Make sure you enter the (*) required information where indicated. HTML code is not allowed.