একটানা ঠান্ডায় ক্ষতির মুখে মালদহের আম-চাষ। পঁচাত্তর ভাগ গাছেই মুকুলের দেখা নেই এখনও। পরিস্থিতি নজিরবিহীন। বলছেন আম চাষিরা। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির আশংকায় আম ব্যবসায়ীরা।
মালদহের ৩১ হাজার হেক্টর জমি জুড়ে আম বাগান। অন্য বছর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই প্রায় সব গাছই মুকুল এসে যায়। অনেক মুকুল থেকে আমের দানাও তৈরি হয়ে যায়। এবছর খামখেয়ালি আবহাওয়ায় উলোটপুরান। মুকুলের দেখা নেই। আম চাষিদের দাবি, এবার ফেব্রুয়ারিতেও কনকনে ঠান্ডা। দিনের তাপমাত্রাও কম। এই আবহাওয়া আম উৎপাদনের অনুকূল নয়।
মাত্র ২৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। বাকিরা এখনও অপেক্ষায়। আবহাওয়ার মুড বদলানোর অপেক্ষায় আম ব্যবসায়ীরাও। গত বছর আমের ফলন ভাল হলেও, শেষ মূহূর্তে বাধ সেধেছিল ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। সরকারি হিসেব বলছে,
- ২০১৯-য়ে দু'লক্ষ নব্বই হাজার মেট্রিক টন আমের ফলন হয়েছিল
-এবছর প্রাথমিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন
এই লক্ষ্যমাত্রা কী আদৌ পূরণ হবে? জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আশা, সুপ্তাহ খানেকের মধ্যে ঠান্ডা কাটলেই, ছবিটা বদলাবে। আমবাগানগুলিতে প্রথম পর্যায়ের স্প্রের কাজ শেষ। এখন হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসের দিকে তাকিয়ে আম চাষিরা।