রাজশাহীর পুঠিয়ায় রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে ৩টি ইউপি এলাকাতে রেকর্ড পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন ফল ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কত হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি।
রোববার উপজেলার বানেশ্বর, ভালুকগাছি ও জিউপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে দমকা হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিলার আঘাতে ৩টি ইউনিয়নে শতশত বাড়ি-ঘর, আম, কলা, লিচু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন ও আলুসহ বিভিন্ন চৈতালী ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে কয়েটি টিনসেড স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত রাস্তা-ঘাটসহ বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনায় শিলার স্তূপ জমা হয়। বিভিন্ন এলাকা লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শিলার স্তূপ ও ক্ষয়ক্ষতি দেখতে ভিড় করে।
রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্য আবুল ফজল বলেন, ভোর ৫টা থেকে ব্যাপক শিলা বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধা ঘন্টায় শিলার আঘাতে ঘর-বাড়িসহ বিভিন্ন ফসল তছনছ হয়ে গেছে। ক্ষতির বিষয়টি পুঠিয়া-দুর্গাপুর সাংসদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে জানানো হয়েছে।
মধুখালি এলাকার কৃষক তাহের আলী বলেন, শিলার আঘাতে আমার ২টি টিনসেড ঘরসহ ২ বিঘা পেঁয়াজ, এক বিঘা রসুন ক্ষেত শেষ হয়ে গেছে। এতে আমার প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
আম চাষি আবেদ আলী বলেন, ৫৫ বছর বয়সে এমন শিলাবৃষ্টি কখনো দেখিনি। এ বছর আম বাগান গুলোতে আগাম মুকুল দেখা দিয়েছিল। এবার আমরা আমের বাম্পার ফলনের আশা করেছিলাম। কিন্তু শিলাবৃষ্টিতে আমের প্রায় সব ফুল ঝরে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন জানানো সম্ভব নয়। সকাল থেকে আমাদের লোকজন মাঠে কাজ করছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীকালের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মন্জুরে মাওলা বলেন, বর্তমান সাংসদসহ উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় রয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে কিছুটা সময় লাগবে।