গোলাপ খাস
- Published Date
- Written by Super Admin
- Hits: 10714
বাংলাদেশে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোলাপখাস এবং গোবিন্দভোগ সবচেয়ে আশু বা আগাম জাতের আম। মুর্শিদাবাদের নবাবগনের পৃষ্ঠোপোষকতায় এই আমটির উদ্ভাবন ঘটেছে। এদের লালবাগের
বাংলাদেশে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোলাপখাস এবং গোবিন্দভোগ সবচেয়ে আশু বা আগাম জাতের আম। মুর্শিদাবাদের নবাবগনের পৃষ্ঠোপোষকতায় এই আমটির উদ্ভাবন ঘটেছে। এদের লালবাগের
বাগান থেকে চারা সংগ্রহ করে বশরীর জমিদার নূরুল ইসলাম মিয়অ আমটি রাজশাহীতে এনেছিলেন বলে জানা যায়। রায়পাড়া বাগানের শৌখিন জোতদারগণ এই আমের প্রসারে বিশেষ ভুমিকা রেখেছেন। আমটি মাঝারি আকারের, ডিম্বাকৃতির। গড় ওজন ৩১৫ গ্রাম। ত্বক মসৃন, পাকার পূর্বে বোটার আশেপাশে লালবর্ণ ধারণ করে। ত্বকের অন্যান্য অংশ হলুদ রং মেশানো। দেখতে বেশ আকর্ষনীয় হয়ে থাকে। আম পাকার পর এর হলুদ রং মেশানো। দেখতে বেশ আকর্ষনীয় হয়ে থাকে। আম পাকার পর এর গন্ধ অনেকটা গোলাপের গন্ধের মতো, যে কারণে এরূপ নামকরণ। শাঁস কমলাভ, রসাল এবং অত্যন্ত সুমিষ্ট। খেতেও সুস্বাদু। খোসা পাতলা, খাদ্যাংশ ৭২%। চিনির পরিমাণ ২৪.৪৩%। আশবিহীন এই আমটি রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় জন্মে থাকে। আমটি অত্যন্ত উন্নতমানের হলেও এর চাষ খুব কম। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অত্যন্ত অপ্রতুল। বাজারে অতি সামান্য পরিমাণে এবং অল্প দিনের জন্য (মাত্র ১০-১৫ দিন) পাওয়া যায়। গোপালভোগ আম বাজারে প্রবেশ করতে না করতেই এই আমটি উধাও হয়ে যাই। গাছের উচ্চতা মাঝারি। একেক গাছে খুব বেশি পরিমাণে ধরে না। প্রতি বছর নিয়মিত ফল আসে না। ফলটি পোক্ত হলে সংগ্রহের পর ৫-৬ দিনের মধ্যে পেকে যায়। পাকার পর অন্তত ৮-১০ দিন ঘরে রাখা যায়।
আরও কিছু ছবিঃ
Comments
- No comments found
Leave your comments